Hiking
তিস্তা পাড়ের ব্রিত্তান্ত

তিস্তা পাড়ের ব্রিত্তান্ত

তিস্তাকে এর আগে কতবার দেখেছি ঠিক গুনে বলতে পারবো না। তবে এবারের দেখাতে খুঁতগুলো স্পষ্ট চোখে পড়ছে। তবে নদী নিজের শরীরকে ক্ষত বিক্ষত করেনি। করেছি আমরা। আজ শেষ নিউ জলপাইগুড়ি জিপ স্ট্যান্ড থেকে গ্যাংটকের পথে যেতে যেতে আমাদের ভুলগুলো নদীর শরীরে কীভাবে ছাপ রেখে যাচ্ছে নতুন করে বুঝতে পারছি।

২০২৩ সালের বন্যায় তিস্তা বাজার অঞ্চলে মানুষের ঘর বাড়ির ধ্বংসাবশেষ
মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০১৩ সালের উত্তরাখন্ড দুর্যোগের কথা। তিস্তায় রোমান্স খুঁজে পাওয়ার দিন কী তবে শেষ হল??

মেল্লির একটু আগে দীর্ঘ গাড়ির লাইন আর প্রায় এক ঘন্টার অপেক্ষাই বলে দিচ্ছে মানুষের অবাধ চলাচলে বাঁধা পড়েছে। রাস্তা খারাপ আর মেরামতির কাজ যেন আর কোনোদিন ফুরবে না। ক্লাইমেট চেঞ্জ অনেক কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন আনবে। হয় আমাদের নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে নাহলে নদীর জন্য সংবেদনশীল মনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

আগামী কিছুদিন আমাকে হয়তো ভয়ঙ্কর সত্যের মুখোমুখি হতে হবে। ঘর ভাঙার গল্প শুনতে হবে। তারপরেও আশা রাখব তিস্তা তার পান্না সবুজ রঙ ফিরে পাবে। তার অনাবিল গতিতে বোরোলি মাছ সংসার গুছিয়ে থিতু হয়ে বলবে ‘যাক ঘর ফিরে পেলুম বটে’।

– সম্রাট (মৌলিক)

Care with love by Aspectall Technologies®.