
বছর শুরু হয় আমাদের সামার ট্রেকের হইহুল্লোড় দিয়ে । সামার ট্রেক ওদিকে যখন শেষ ,তখন আরেক দিকে দামামা বেজে উঠেছে এক্সপিডিশন এর ।এক্সপিডিশন টিম তখন গোছাগুছি শুরু করে দিচ্ছে গ্রীষ্মকালীন অভিযান এর। আবার যারা হাই অলটিটিউড ট্রেক করেন , তারা তারই ফাঁকে শুরু করে দিচ্ছে পাহাড়ে নতুন পথের খোঁজ। কোন ফাকে কিছু ছেলে হয়তো সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ছে অজানার উদ্দেশ্যে। এইসব চলতে চলতেই চলে আসে আমাদের সমাবর্ত অনুষ্ঠান (ভয়েজ) । বিগত দিনের পাহাড়ে চলার কাজকর্ম বিশ্লেষণ থেকে শুরু করে গুণী মানুষদেরকে সম্মান প্রদর্শন করা ও আগামীর পর্বতারোহী দেরকে আরো নতুন নতুন অভিযানের অনুপ্রাণিত করার আন্তরিক প্রচেষ্টা যেমন থাকে তার ই সাথে থাকে ভীষণভাবে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা খুদে পর্বতারোহী যারা রক লাইমিং কোর্স এর অ-কক্ষ শিখে এসেছে সদ্য বা আরো শিখতে আগ্রহী।
এরপর কাশবন ফুলে ফুলে সাদা হয়, শিউলি ফুল আর আগমনীর আবহে বিভোর হয়ে থাকে আপামর বাঙালি। সারা রাজ্য পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে। তখন আমরা মেতে উঠি আমাদের পুজো রক ক্লাইম্বিং কোর্সের আনন্দে। শুরু হয়ে যায় রক ক্লাইম্বিং কোর্সের আয়োজন। টিকিট কাটা ,বাজার করা, এ সবই শুরু হয়ে যায় তিন মাস আগে থেকে। দেখতে দেখতে শীতকালে পুরুলিয়া অঞ্চলের পাহাড় গুলোতে আমরা ছেলে মেয়েদের নিয়ে যাই কোর্স করাতে।
আমাদের বছর প্রায় শেষের পথে ।এই সারা বছরে পাহাড়ের ঘুরে বেড়িয়ে বহু মানুষের সাথে আলাপ পরিচয় হয় তারই আনন্দ আমরা ভাগ করে নি বছরের এই একটি দিনে আরোহীর মিলনমেলায়।নতুনের সাথে পুরাতনের মিল হয় ।অনেক নতুন মানুষ আসেন অনেক পুরনো মানুষ যার আগে আসতেন তারাও এই অনুষ্ঠানে আসেন।আপনিও আসুন ।
একটা সারাদিন পাহাড়ের গল্পে আনন্দে আমরা সকলে মেতে উঠি।